টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২৫ আগস্ট, ২০২২ নিউজ (ঢাকার
কন্ঠ ) : প্রান্তিক জনগোাষ্ঠীর সুবিধাবঞ্চিত ১৬১ শিক্ষার্থীকে দক্ষ ও আত্মপ্রত্যয়ী কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে গোপালগঞ্জে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বেসরকারি সেবামূলক সংস্থা ‘গণ কল্যাণ সংস্থা’। জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিল্টন মিয়া ও গণ কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ৩ মাস ব্যাপী ওই শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
গত ৬ আগষ্ট থেকে রাজপাট ইউনিয়ন পরিষদ অডিটোরিয়ামে ফিউচার ব্রাইট কম্পিউটার লার্নিং প্রজেক্টের আওতায় এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্স আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
প্রশিক্ষণের আয়োজক রাজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিল্টন মিয়া বলেন, ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি জানতে কম্পিউটার শেখার কোন বিকল্প নেই। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে টেকনোলজি অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থারে পথ সৃষ্টি করবে। এ কারণে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মাঝে তথ্যপ্রযুক্তিগত জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষণার্থী ইসরাত জাহান জেরিন বলে, আমরা বিনা পয়সায় বাড়ির কাছে খুব সহজেই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিতে পারছি। এখনে এম এস ওয়ার্ড, এক্সেল, গ্রাফিক্সসহ কম্পিউটারের প্রাথমিক ধারণা গুলো দেয়া হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা তথ্যপ্রযুক্তির একটি ভালো ধারণা গ্রহণ করতে পারছি। এটি চর্চার মধ্যমে আমরা দক্ষ হতে পারব। এ প্রশিক্ষণ আমাদের আইটি সেক্টরে চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থী পল্লবী বলে,আগামীর পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করবে প্রযুক্তি। আমাদের মেধা ও মনন প্রযুক্তিতে নিয়োজিত করতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি আইটি সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে। এটিকে পুঁজি করেই ভবিষ্যত রচনা করতে হবে। সেই পথের প্রাথমিক ধারণা দিচ্ছে এ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ। এখান থেকে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করব। তারপর আইিটিতে ক্যারিয়ার গড়তে চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমরাই হব বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আধুনিক ও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।
গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের উদ্যোগটি প্রসংশনীয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তার আত্মপ্রত্যয়ী কর্মী হতে পারবে। ফ্রি-ল্যাসিংসহ আইটির বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে তারা ঘরে বসেই আয় করতে পারবে।